ঢাকা, সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

দুঃসময়ে জনগনের পাশে শেখ হাসিনা (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৫৭, ১৩ জুলাই ২০২০ | আপডেট: ১৬:০২, ১৩ জুলাই ২০২০

Ekushey Television Ltd.

বিশ্বের অন্য অনেক দেশের মতোই করোনার কঠিন সময়ের মুখোমুখি বাংলাদেশ। সংক্রমণের শুরু থেকেই সরকার প্রধান হিসেবে শেখ হাসিনার সব সিদ্ধান্তের মূলেই জনগণের কল্যাণ। আবার সেই শুরুতেই দলীয় প্রধান হিসেবে দুঃসময়ে মানুষের পাশে থাকতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন। নির্দেশ মতো আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ত্রাণ কার্যক্রমসহ নানাভাবে মানুষের পাশেই আছে। ভয় নয়, করোনাকে জয় করে আবারও ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বক্তব্য রাখছেন- পিআইডি

সংসদের বাজেট অধিবেশনের এক বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, ‘রোগ শোক বালাই এগুলো থাকবেই কিন্তু জীবন তো থেমে থাকবে না। জীবন তো চলমান। করোনার ভয়ে আতঙ্কিত হব কেন? হ্যাঁ নিজেকে সুরক্ষিত রাখার জন্য যা যা করার দরকার তাই করব।’ সংক্রমণের শুরু থেকে প্রধানমন্ত্রীর এ রকম দৃপ্ত কন্ঠ সাহস দিয়েছে মানুষকে। ৮ মার্চ শুরুর পর ধীরে ধীরে করোনার সামাজিক সংক্রমণ। ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি, সবকিছু নিস্তব্ধ। থেমে যায় সাধারণ মানুষের আয়ের চাকা। থমকে দাঁড়ায় দেশের অর্থনীতি। 

শুরু থেকেই দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ায় সরকার। মানুষ বাঁচাতে, অর্থনীতি বাঁচাতে ১ লাখ কোটি টাকারও বেশি ১৯টি প্রনোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আরও ৫০ লাখসহ মোট ১ কোটি রেশন কার্ড করানো হয়। জোরদার করা হয় ত্রাণ কার্যক্রম। ঈদের আগে ৫০ লাখ মানুষকে ঈদ উপহার পাঠান প্রধানমন্ত্রী। সারাদেশে ঈমাম-মুয়াজ্জিনদেরও ঈদ উপহার পাঠান তিনি।

দলের প্রধান হিসেবে শুরু থেকেই নেতাকর্মীদের জনগণের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। দলীয় প্রধানের ডাকে সাড়া দিয়ে আওয়ামী লীগ ১ কোটি ২৫ লাখ ৮ হাজার ৮১ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা হিয়েছে। নগদ অর্থ সহায়তার পরিমাণ ১০ কোটি ৫২ লাখ ১৮ হাজার টাকা। এছাড়া পিপিই, চশমা, মাস্ক সাবান, হ্যান্ড গ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ৪২ লাখ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছে। এগিয়ে এসেছে লাশ দাফনে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে সুরক্ষা সামগ্রীও বিতরণ করেছে। কৃষক লীগ প্রায় ৩০ হাজার কৃষাণ-কিষানীর কাছে মানবিক উপহার পাঠিয়েছে। ধান কাটার মৌসুমেও ছিলো কৃষকদের পাশে। ধান ক্রয়ে মনিটরিং করছে কৃষক লীগ। 

সচেতনতা সৃষ্টিতে শুরু থেকেই মাঠে ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ। এ পর্যন্ত সংগঠনটি ১০ লাখ অসহায় ও দুস্থ মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা পৌছে দিয়েছে। বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা, অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস ও খাদ্য সহায়তা পেতে চালু আছে কল সেন্টার। সংক্রমণ শুরুর পর থেকেই নীরবে কাজ করে গেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এ পর্যন্ত ৪ লাখ ৬৮ হাজার হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও প্রায় সাড়ে ছয় লাখ মাস্ক বিতরণ করে সংগঠনটি। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশব্যাপী কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দেয়ার কাজটি করেছে ছাত্রলীগ কর্মীরা। পাশে দাঁড়িয়েছে ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে। সেই সঙ্গে আছে টেলিমেডিসিন প্লাজমা সেল ও রক্তদান কর্মসূচি। 

চিকিৎসা থেকে শুরু করে দেশের প্রতিটি মানুষ যাতে ভালো থাকে- দিনরাত সেই চেষ্টায় করছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। করোনাকালের বাজেটেও আছে সেই ছাপ। শেখ হাসিনা সংসদের তার এক বক্তৃতায় বলেন, ‘আমরা আশাবাদি। করোনার এ অবস্থার উত্তরণ ঘটবে।’ 

করোনাকে পরাজিত হবে, আবারও সব কিছু ফিরবে আগের চেহারায়। নতুন সূর্যে হাসবে বাংলাদেশ। সেই লড়াইয়েই আছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

এমএস/
 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি